সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো
চেম্বার ডেস্ক:: সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো আজ রবিবার সকাল থেকেই খুলে দেয়া হয়েছে। তবে শর্ত হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অন্তত ‘কোভিড-১৯’-এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন তার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে হবে।
রবিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে হলে প্রবেশ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে শুধু স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার অনার্স ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে হল প্রশাসন।
দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের ফিরে পেয়ে হল প্রাধ্যক্ষরা তাদের রজনীগন্ধা ফুল ও চকোলেট দিয়ে বরণ করে নেন।
আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগেই আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, ‘প্রথম ধাপের মতোই দ্বিতীয় ধাপের জন্য আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। হলের প্রবেশদ্বারেই রয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। ভেতরে ঢোকার আগে সবার তাপমাত্রা মেপে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সকাল ১০টার দিকে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল এবং রোকেয়া হল পরিদর্শনে যান।
এ সময় উপাচার্য বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে হলে ওঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়েছে। একটি হলো করোনা সংক্রমণের হার এবং শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের অগ্রগতি। দুটিই এখন আশাব্যঞ্জক। একদিকে যেমন সংক্রমণের হার কমে আসছে, অপরদিকে আমাদের শিক্ষার্থীরাও অধিকাংশই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে। যারা এখনও নেয়নি, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. শহীদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র করা হয়েছে। এনআইডি কার্ডের জন্য যারা টিকা নিতে পারছে না, তাদের জন্য টিএসসিতে বুথ স্থাপন করে এনআইডি নিবন্ধনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, ১৭ অক্টোবরে সশরীরে ক্লাস শুরুর আগেই শিক্ষার্থীরা সবাই যাতে অন্তত এক ডোজ টিকা নিতে পারেন, সে জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের মার্চে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম এবং আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য এ বছরের ১৩ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল।