শাহজালাল বিমানবন্দরে করোনা ল্যাবের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু
চেম্বার ডেস্ক:: প্রবাসীকর্মী ও যাত্রীদের দ্রুততম সময়ে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ছয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত ল্যাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ প্রবাসীকর্মীর নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবরেটরিতে স্থাপিত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি হবে। ইতোমধ্যেই এ পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাইরোলজিস্টরা বিমানবন্দরে হাজির হয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্টেমজ হেলথকেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, শনিবার রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ল্যাবগুলো চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান ও বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যদের কিছু পর্যবেক্ষণ থাকায় আজ সকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ল্যাবগুলো চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপ্রাপ্ত ছয় প্রতিষ্ঠানের সবগুলোতেই পরীক্ষামূলক নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এ পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানোর পর নমুনা পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা, কোনো সংশোধন প্রয়োজন হবে কিনা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে ল্যাবরেটরি কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দরের চামেলী-বিডা লাউঞ্জে বিদেশগামী যাত্রীদের দ্রুত কোভিড পরীক্ষাপূর্বক রিপোর্ট প্রদান বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। সভায় লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি), সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার কর্মকর্তা, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ল্যাব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিদেশগামী যাত্রীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদানের বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয় এবং কোভিড পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ নিয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনা হয়। সভার এক পর্যায়ে সকালে বিমানবন্দরে স্থাপিত পিসিআর ল্যাব পরিদর্শন করেন।
করোনা মহামারির মধ্যে আমিরাত বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগাযোগ শুরু হলেও ফ্লাইটের ছয় ঘণ্টার মধ্যে র্যাপিড পিসিআর টেস্ট করে ফল নেগেটিভ আসতে হবে- এমন শর্ত আরোপ করে। এছাড়াও আমিরাতে প্রবেশের পর আবারও করোনা পরীক্ষা করা হবে।
আমিরাতের দেওয়া ছয় ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার শর্তের জন্য বাংলাদেশে আটকে যান প্রায় সাত হাজার প্রবাসী। ল্যাব স্থাপনের ফলে তারা শিগগিরই দেশটিতে যেতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।