পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ২২ তারিখ থেকে রেড এলার্ট তুলবে ব্রিটেন

চেম্বার ডেস্ক:: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমে আসায় এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অব্যাহত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে ব্রিটেনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা রেড-লিস্ট থেকে নামিয়ে অ্যাম্বারে নিয়ে আসবে ২২ সেপ্টেম্বর।

শুক্রবার ১৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের সরকারী ওয়েব সাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয় বাংলাদেশ ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর ৪ টায় অ্যাম্বার তালিকায় চলে যাবে। তবে এই সময়ের আগে কেউ ইংল্যান্ডে গেলে তাকে অবশ্যই লাল তালিকার নিয়ম মেনে চলতে হবে।( Bangladesh Moving to the amber list 4am, Wednesday 22 September. If you arrive in England before then you must follow the red list rules.)

এ দিকে একই সময়ে বাংলাদেশ ছাড়া আরো ৭টি দেশ রেড লিস্ট থেকে অ্যাম্বারে চলে আসবে বলেও ওয়েব সাইটে জানানো হয়। দেশগুলো হলো তুরস্ক, মিশর, ওমান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা,কেনিয়া এবং পাকিস্তান।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেন।

পরবর্তিতে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অতিঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা (রেড-লিস্ট) থেকে সরানোর অনুরোধ জানান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমে আসার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্রিটেনের ৫০ বছরের পুরোনো বন্ধু, তাছাড়া প্রায় ছয় হাজার ব্রিটিশ-বাংলাদেশী আটকা পড়ে আছেন এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে রেড-লিস্ট-এ রাখা সমীচীন না।

জবাবে তৎকালীন বিট্রিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমাদের দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব এবং বাংলাদেশের জিনোম সেকুয়েন্সিং ডেটার আরও ঘনঘন প্রকাশের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশকে রেড-লিস্টে না রাখার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।

অ্যাম্বার তালিকায় যাওয়া দেশগুলোর থেকে যারা ব্রিটেন যাবেন তাদেরকে আর হোটেল কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না তবে হোম কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। এতে করে ভ্রমন খরচ প্রায় তিন লক্ষ টাকা কমে আসবে।

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ওপর থেকে রেডএলার্ট তুলে নেয়ার খবরে সিলেটজুড়ে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে। বিশেষ করে আটকে পড়া প্রবাসী এবং যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া করতে যাওয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা উল্লাস প্রকাশ করছেন।  তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সরকারের প্রচেষ্টার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভ্যাকসিন কূটনীতি থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজে তিনি ক্যারিশম্যাটিক সফলতা দেখান।