সর্বশেষ

» কিছু অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করবো, তবে ভবিষ্যতেও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৫. সেপ্টেম্বর. ২০২১ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন দেশে প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

 

আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এক রিট আবেদনের আদেশে মঙ্গলবার নিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন যেগুলো রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত, সেগুলো ছাড়া আর কোনো অনলাইন ভবিষ্যতে বের হবে না, তেমন নিয়মতো নেই। আজকে যে সব পত্র-পত্রিকা আছে, সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো পত্র-পত্রিকা বের হবে না, তেমন নিয়মও নেই।’

 

‘তেমন নিয়ম কোথাও নেই। আমাদের দেশেও নেই, অন্য কোনো দেশে আছে কি-না, তাও জানা নেই।’

 

আদালতের আদেশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সহায়ক আদেশ বলেও মনে করনে সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে সব অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না, নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন আসলে দেশে প্রয়োজন নেই।’

 

তিনি বলেন, ‘যার যেমন ইচ্ছে একটি অনলাইন খুলে বসবে এবং সেটি নিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশে পরিচালিত হবে, কোনো ব্যবসায়িক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কখনোই সমিচিত নয়। সেক্ষেত্রে এ আদেশ অবশ্যই একটি সহায়ক আদেশ।’

 

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আদালতের লিখিত কপি পাওয়ার পর যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই কিছু অনলাইন বন্ধ করবো, তবে ভবিষ্যতেও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে।’

 

একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আদালতের কাছে সে বিষয়টি উপস্থাপন করবো। কিছু অনলাইন আমরা বন্ধ করবো। ইতোমধ্যে কিছু বন্ধও করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে আমরা আদালতের নজরে এটিও আনবো, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেটিও কতটুকু সমীচীন, সেটিও ভাবার বিষয়। সেজন্য আমরা আদালতের নজরে আনবো।’

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031