সর্বশেষ

» ব্রিটেনে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সিলেটের ড. তাফহিমা হায়দার

প্রকাশিত: ২১. জুন. ২০২১ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: বিলেতে গবেষণা ও একাডেমিক সাফল্য দিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করেছেন ড. তাফহিমা হায়দার।

ড. তাফহিমা হায়দার (চাঁদনী) সম্প্রতি ডক্টরেট অর্জন করে লন্ডনের কুইনমেরী ইউনিভার্সিটিতে একজন সায়েন্টিস্ট (বিজ্ঞানী) হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি লন্ডন কুইনমেরী ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সের ওপর পড়াশোনা করে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ফার্স্ট ক্লাস (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি লন্ডনের ইউসিএল থেকে ইনফেকশন ইমিউনিটির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাস্টার্স শেষ করার পর যখন ইউসিএলে কাজে যোগদান করেন তখন সায়েন্টিফিক রিসার্চে ভালো ফলাফল দেখে এবং তার কাজ ও ধৈর্য দেখে ইউসিএলের বিজ্ঞানীরা তাকে পিএইচডি করার জন্য উৎসাহিত করেন।

তাফহিমা মলিকোলার ভায়োরোলজির ওপর পিএইচডি শেষ করেন এবং এ বছর বিশ্বখ্যাত বৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘পিএনএএস’-এ তার গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তিনি তার এই গবেষণায় এইচআইভি-১ এর ইনফেকশন মানুষের শরীরে কীভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

পিএইচডি শেষ করার পর রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে দুটি কাজের অফার পান তাফহিমা। একটি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি এবং অন্যটি কুইনমেরী ইউনিভার্সিটিতে। তিনি তিনি কুইনমেরীর অফারটিকে স্বাগত জানান,  কারণ তার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এই যে, তিনি এমন একটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করবেন; যাতে ভবিষ্যতে মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে বিশ্বের দরিদ্র মানুষগুলোকে।

কুইনমেরী ইউনিভার্সিটিতে তার রিসার্চের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, সাউথ আফ্রিকার ছেলেমেয়েদের অপুষ্টির কারণে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কেন তারা বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনে ভোগে- তা নিয়ে গবেষণা করা।

ভবিষ্যতে স্বাধীন বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করা তাঁর অন্যতম লক্ষ্য এবং নিজস্ব একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিসার্চ টিম গঠন করবেন; যার ফলে তিনি বিশ্বের মা এবং শিশুদের জীবন বাঁচাতে রিচার্সের মাধ্যমে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারবেন।

ড. তাফহিমা হায়দার আশা প্রকাশ করে বলেন, তার এ উদ্যোগ দেখে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা উৎসাহিত হবেন। বিশেষ করে জাতিগত সংখ্যালঘু ব্যাকগ্রাউন্ডের মেয়েরা এবং মহিলারা অনুপ্রাণিত হবেন এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবে।

উল্লেখ্য, ড. তাফহিমা হায়দারের গর্বিত পিতা হলেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক দেওয়ান রফিকুল হায়দার (ফয়সল) এবং মা জোছনা আরা হায়দার। বাংলাদেশে তাদের বাড়ি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামে।

ড. তাফহিমা হায়দারের এ অর্জন বিলেতে নতুন প্রজন্মকে নিজেদের ভবিষ্যত বিনির্মাণে স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে বলে অনেকেই মনে করেন। গবেষণায় তার অসাধারণ সাফল্যের আরও খবরের আশায় উন্মুখ হয়ে রইল শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930