সর্বশেষ

» সুনামগঞ্জ পৌর মেয়রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

প্রকাশিত: ২০. জানুয়ারি. ২০২১ | বুধবার

ডেস্ক রিপোর্ট: সুনামগঞ্জে প্রতারণার মাধ্যমে পাসপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা করেছেন দুই রোহিঙ্গা। এ ঘটনায় একটি মামলা চলমান। মামলায় সুনামগঞ্জের মেয়রসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) আদালত এ মামলায় পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ

পরোয়ানাভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল, পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পিযুষ কান্তি তালুকদার, পৌরসভার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. সেলিম উদ্দিন ও সুনামগঞ্জ বারের আইনজীবী কাওসার আলম। তবে তারা মামলার এজহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। পরে তদন্ত করে মামলার চার্জশিটে তাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে যান দুই রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন। এ চার ব্যক্তি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ওই দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। বিকেলে আবার ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয় পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

ওই দিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের মো. ফরহাদ আহমদ (৩৬), রামনগর গ্রামের মো. নূর হোসেন (২৩), সুজাতপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিনকে (২৩) আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার।

এর আগে ওই দুই রোহিঙ্গা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নিয়েছিলেন।

এ মামলায় গত ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে এজহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া পাঁচজনের নাম যুক্ত করে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদান প্রক্রিয়ায় পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ ওই কর্তকর্তারা যুক্ত। পরে সেটি সত্যায়ন করেছেন আইনজীবী কাওসার আলম।

সূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930