সর্বশেষ

» বাংলাদেশে ঢুকতে লাগবে ‘করোনা নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট

প্রকাশিত: ০৪. ডিসেম্বর. ২০২০ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: বাংলাদেশে আসতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করছে বেবিচক, যা আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ফলে দেশি-বিদেশি কোনও এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া বাংলাদেশে যাত্রী আনতে পারবে না। বেবিচকের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স নতুন একটি নির্দেশনা তৈরি করেছে। বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আসতে হলে সব যাত্রীকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং নেগেটিভ যাত্রীরা আসতে পারবেন। বিমানবন্দরে সেই নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। একইসঙ্গে বিমানবন্দরেও যাত্রীর লক্ষণ উপসর্গ আছে কি না তা অনুসন্ধান করা হবে। কোনও যাত্রীর উপসর্গ দেখা গেলে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও তাকে সরাসরি নির্ধারিত হাসপাতালে পরবর্তী পরীক্ষা, চিকিৎসা ও আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হবে। তবে কোনও যাত্রীর মধ্যে উপসর্গ দেখা না গেলে তাকে নিজ বাড়িতে গিয়ে ১৪ দিন হোমকোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

বাংলাদেশি শ্রমিক, যাদের বিএমইটি কার্ড আছে, তারা যে দেশ থেকে আসবেন, সে দেশের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা সহজলভ্য না হলে, তারা অ্যান্টিজেন বা অন্য কোনও গ্রহণযোগ্য পরীক্ষার সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।

বিমানবন্দরে কর্মরতদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ছাড়াও যাত্রী, ক্রু, উড়োজাহাজ জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া যথাযথ কর্তৃপক্ষকে করতে হবে বেবিচকের নির্দেশনা অনুসারে। বাহরাইন, চীন, সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, কাতার, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যে চলাচল করা ফ্লাইটের ক্ষেত্রে করোনা মহামারির মধ্যে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে ৫ ডিসেম্বর থেকে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ অন্যান্য গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট নেই। সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, দুবাই, আবুধাবি, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্যে ট্রানজিট হয়ে যাত্রীরা এসব গন্তেব্যে যাওয়া-আসা করেন। ফলে এ নির্দেশনা ইউরোপ ও আমেরিকাসহ অন্যান্য গন্তেব্যে চলাচল করা ফ্লাইটের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।

তবে শিডিউল বাণিজ্যিক ফ্লাইট ছাড়া রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ত্রাণ, মানবিক সাহায্য, প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত আনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কূটনৈতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশ থেকে যাত্রীরা যে দেশে যাত্রা করবেন, তাদের সে দেশ ও এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

কোনও দেশে যেতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক হলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করাতে হবে। ভ্রমণে কী কী করণীয়, কী কী সঙ্গে রাখতে হবে, তা এয়ারলাইন্স যাত্রীদের জানানোর ব্যবস্থা করবে। তবে বিদেশে যেতে ১০ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয়।

বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনৈতিক মিশনগুলোর কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও পিসিআর ল্যাবে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে, যা যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করতে হবে। বিদেশি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসতে হলে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। যদি বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনার উপসর্গ না দেখা যায়, তাহলে বিদেশি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে ১৪ দিনের কম সময় অবস্থান করতে পারবেন এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে পারবেন। যদি করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়, তবে তাকে পরবর্তী পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন সেন্টার ও হাসপাতালে পাঠানো হবে।

বেবিচকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কয়েকদিন আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া দেশে আসা বন্ধের বিষয়ে সুপারিশ এসেছে। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়, সরকারের নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা নিচ্ছি। দেশে আকাশপথে চলাচলের ক্ষেত্রেও আমরা সতর্কাবস্থায় আছি। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এ জন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়মিত নির্দেশনা আপডেট করা হচ্ছে।’সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930