সর্বশেষ

» মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত: ২২. অক্টোবর. ২০২০ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক:: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ বলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন। লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২১ অক্টোবর) সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

 

গত ১৪ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

 

প্রধান সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

 

আদালতে সৈয়দ কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম (সদ্য প্রয়াত), অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।

 

সৈয়দ কায়সারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ রাখায় শুধু এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ পাবেন এই যুদ্ধাপরাধী। রিভিউ খারিজ হলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে সরকার।

 

এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানি শেষ  হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। গত ১০ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিলের শুনানি শুরু হয়।

 

মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

 

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন তখনকার এই মুসলিম লীগ নেতা। জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি হয়ে যান বিএনপির লোক। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সৈয়দ কায়সার।

 

ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেন, সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬ অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।তাকে  প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে, যার মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে। ওই দুই বীরাঙ্গনার মধ্যে একজন এবং তার গর্ভে জন্ম নেওয়া এক যুদ্ধশিশু এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। সৈয়দ কায়সার ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930