সর্বশেষ

» নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এইচএসসি, কমতে পারে নম্বর

প্রকাশিত: ০৬. অক্টোবর. ২০২০ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: করোনার সংক্রমণ এড়াতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলো। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাদে পরীক্ষা শুরুর পর থেকে প্রতিদিন পরীক্ষা চলবে। যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা শেষ করতে চায় মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, সব বিষয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, তবে পূর্ণ নম্বর কমতে পারে। আজ এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

সূত্র জানায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনে দুটি বিকল্প সামনে রাখা হয়েছে। একটি হচ্ছে, প্রতি বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর কমানোর প্রস্তাব আছে। সে ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে ব্যাবহারিক নেই, সেগুলোতে এমসিকিউ ও সৃজনশীল উভয় অংশের পূর্ণ মান থেকে ৫০ শতাংশ করে কমানোর চিন্তা আছে। আর যেগুলোতে ব্যাবহারিক আছে, সেগুলোতে ব্যাবহারিক নম্বর ঠিক রেখে অবশিষ্ট অংশের (এমসিকিউ ও সৃজনশীল) নম্বর সমন্বয় করে পূর্ণ নম্বর ৫০ শতাংশ কমানো হবে।

অন্য প্রস্তাবে কেবল এমসিকিউ কিংবা সৃজনশীল অংশের যেকোনো একটির পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি আছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যাবহারিকের নম্বর ঠিক রেখে বাকি অংশের ওপর নম্বর সমন্বয়ের চিন্তা আছে। আর করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিজ নিজ কলেজকে ব্যাবহারিক পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাবও আছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব গ্রহণ করবে সেটি বাস্তবায়ন করবে বোর্ডগুলো। তবে কোনো প্রস্তাবেই বিষয় কমানোর কথা বলা হয়নি।

আন্ত শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষা নিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সে ব্যাপারে এরই মধ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। প্রতি বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থীকে যে পাশে বসানো হবে, পরের বেঞ্চের শিক্ষার্থীকে তার অন্য পাশে বসানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ঢোকানো ও বের করা হবে।

গত ১ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এবার ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর জন্য প্রায় দুই হাজার ৫০০ কেন্দ্রে প্রস্তুত করেছিল ১১টি শিক্ষা বোর্ড। তবে করোনার কারণে এখন প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ হাজার কেন্দ্র প্রয়োজন হবে। সে প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে বোর্ডগুলো।

গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চার সপ্তাহের সময় দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করব। কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেব, কতটুকু পরীক্ষা নেব, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা ৬ অক্টোবরের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। ছয় মাস ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ধরে রাখা যায় না। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে কতগুলো বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়, সেটা আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। যখন আমরা পরীক্ষা নেব, তখন কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করা যায় সেই বিবেচনাও আমাদের থাকবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রীর কথামতোই নির্দিষ্ট সময়ে এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে জানানো হবে। আজ মঙ্গলবার জানিয়ে দেওয়া হতে পারে কখন বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে। মঙ্গলবারে যদি সম্ভব না হয় তাহলে বুধ-বৃহস্পতিবার পর্যন্তও সময় লাগতে পারে।

পরীক্ষা শুরুর পর সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাদে প্রতিদিন পরীক্ষা হতে পারে। দ্রুত এই পরীক্ষা শেষ করতে চায় সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্ত শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার ব্যাপারে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা পাব, সে অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুত রয়েছি।’

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930