» সিলেট ওসমানী হাসপাতাল ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট’ কার্যক্রমে শতভাগ সফলতা অর্জন

প্রকাশিত: ১২. জুন. ২০২৪ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক: 

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগ ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট’ কার্যক্রমে শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে। এ পর্যন্ত ৬২ জন জন্মগত বধিরের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট করা হয়েছে। তারা সকলেই কানে শুনছে এবং কথা বলতে পারছে। অত্যাধুনিক এই যন্ত্রের দাম সাত থেকে সাতাশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে সমাজসেবা অধিদফতরের অর্থায়নে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে বক্তব্য রাখেন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসুচীর পরিচালক বিশিষ্ট নাক কান গলা ও হেড-নেক চিকিৎসক ডা: নূরুল হুদা নাঈম।
তিনি জানান, জন্মগতভাবে যে সব শিশু বধির তাদের মধ্যে পাঁচ বছরের শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ কানে শোনার যন্ত্র স্থাপন করা হয়। এই যন্ত্রটি নিয়ে মানুষ সাঁতার কাঁটতে পারে, যন্ত্রটির কোনো সমস্যা হয়না। যন্ত্রটি ব্যয়বহুল হওয়ায় সবাই ব্যবহার করতে পারেনা।

ডা: নাঈম আরো বলেন, সরকারি অর্থায়নে এ পর্যন্ত সফলভাবে বধির ৬২জন মানুষজনকে অপারেশন করা হয়েছে। তার মধ্যে পুরুষ ৩২, মহিলা ৩০ ও অন্যান চারজন। যদিও প্রক্রিয়াটি অত্যান্ত জটিল। অভিজ্ঞ লোকবলের অভাবের কক্লিয়ার সার্জারি অনেক স্থানে করা সম্ভব না হলেও এখানে ৬ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। সে জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসছেন।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট’ কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। যাতে তারা সরকারের এই সেবা গ্রহন করতে পারে।
আরো বক্তব্য রাখেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মুজিবুল হক, সিলেট সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: সৌসিত্র চক্রবর্তী, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত প্রমুখ।
চলতি বছরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় সমাজ সেবা অধিদপ্তর খেকে বলেন- সিলেট সমাজ সেবা পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031