সর্বশেষ

» অবৈধ বালু বাণিজ্যে, কোটি টাকা উপার্জন ক্ষতিগ্রস্ত শতশত পরিবার

প্রকাশিত: ১৩. অক্টোবর. ২০২১ | বুধবার


Manual5 Ad Code

জাহেদ আহমদ : কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের ৫ এবং ৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুরমা নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রতিদিন নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে উত্তোলিত বালু ৪০ থেকে ৫০টি কার্গো নৌকা দিয়ে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন জায়গায় স্তুপ আকারে রাখা হচ্ছে, সেখান থেকে সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য পাঠাচ্ছে একটি চক্র। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙনের ফলে সুরমা নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘর-বাড়ি, বসতভিটা, হাটবাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শত শত বিঘা কৃষি জমি।
যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন এলাকায় বাস্তবায়নাধীন নদীতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ এবং সেইসঙ্গে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রশাসনের লোকজন এসব দেখেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে ঝিংগাবাড়ি এলাকায়

Manual1 Ad Code

দেখা যায়,যে যেখানে থেকে পারছে ইচ্ছা মতো বালু উত্তোলন করছে। এই বালু উত্তোলনের মাধ্যমে একদল মানুষ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা হারুন রশীদ, ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আলা উদ্দিন মেম্বার, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা অলিউর রহমান এবং সালিক আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র রয়েছে যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী।তারা ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের ৫ এবং ৬ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন স্থানে সুরমা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবাধে বালু তুলে নৌকায় করে এ পাড়ে বিভিন্ন স্থানে এনে স্তূপ করে রাখছে। পরে সেখান থেকে ট্রাক্টর ও ট্রাকে অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলনের জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। প্রতিদিন ট্রাক্টর ও ট্রাকে অবৈধভাবে বালু পরিবহণের কারণে রাস্তারও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,গাছবাড়ী -সিলেট, গাছবাড়ী-কানাইঘাট সড়কে অন্তত ৭টি স্থানে প্রভাবশালীদের প্রতিদিন

নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিয়ে বালুর ব্যবসা চালাচ্ছে ওই চক্রটি। বালু ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, ‘আমার মতো অনেকেই বালু উত্তোলন করছে। নদীতে চর জেগে উঠায় সেখান থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছি। তাছাড়া আমি একা না সবাইকে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করছি।’

Manual3 Ad Code

এ বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে। এলাকাবাসী জানান- হারুন রশিদ এবং তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট তৈরীর মাধ্যমে ঝিংগাবাড়ি এলাকায় এই অবৈধ্য বালু বানিজ্য কয়েক বছর থেকে চালিয়ে আসছে। অবৈধ বালু উত্তোলন এলাকার কেউ বাধা দিলেন তাদেরকে অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি করে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয় এই বালু উত্তোলনকারীরা।এই অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে স্থানীয় প্রশাসনেরও কিছু লোক জড়িত রয়েছেন বলে তারা জানান।যার কারণে বারবার প্রশাসনকে অবহিত করা সত্বেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।তারা আরও জানান- অনেক বার এই বিষয় নিয়ে তারা মানব-বন্ধন করেছেন।

Manual5 Ad Code

এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বালু ব্যবসার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত বলে আমার জানা নেই। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আমি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অনুরোধ করেছি; কিন্তু কাজ হয়নি।’
কানাইঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া রাতে বালু উত্তোলন ও পরিবহণ করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। ট্রাস্কফোর্সের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি।

           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code