সর্বশেষ

» সব জেলা হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৬. জানুয়ারি. ২০২৩ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘সেবার মান আরও বাড়াতে ঢাকাসহ সব জেলা সদর হাসপাতা‌লে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হয়েছে।’

সোমবার (১৬ জানুয়া‌রি) ‌বি‌কে‌লে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু উপলক্ষে আ‌য়ো‌জিত অনুষ্ঠা‌নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা ব‌লেন।

ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালুর ফলে এখন থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীরা ঝামেলামুক্তভাবে সব রকম সেবা পাবেন ব‌লে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

‌তি‌নি ব‌লেন, ‘বর্তমা‌নে হাসপাতা‌লে ৫০০ বেড থেকে নতুন করে ১ হাজার ৩৫০ বেডের সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলো। এখানে নানা রকম টেস্ট সুবিধা, আইসিইউ, এসডিইউ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এখন থেকে আর কোনো রোগীকে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। রোগীরা এই হাসপাতালে বেডে থে‌কেই চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি কর‌তে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত সব কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্সদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই হাসপাতা‌লের বেড বাড়া‌তে হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজে সরকারের ৯২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৭৫ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি নতুন অপারেশন থিয়েটারসহ শত শত বেড বৃদ্ধি করা হলো।’

মন্ত্রী ব‌লেন, ‘এখানকার সবাইকে ঠিকভা‌বে মানু‌ষের সেবা দিতে হ‌বে, না হ‌লে সরকারের সব প্রচেষ্টা নষ্ট হবে। কোনো যন্ত্র নষ্ট হলে তা যদি ঠিক না করে ফেলে রাখা হয়, রোগীদের বাইরে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়, তাহ‌লে সেটা হ‌বে অপরাধ। যন্ত্র নষ্ট হলে তা মেরামত করতে হবে। মেরামতযোগ্য না হলে নতুন করে কিনতে হবে। রোগীদের সেবা না দিয়ে বেসরকারি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পাঠানো যাবে না।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, চিকিৎসাসেবা দিয়ে আপনারা সরাসরি মানুষের দোয়া পান, মানুষের ভালোবাসা লাভ করতে পারেন; যা অন্য কোনো পেশায় কাজ করে পাওয়া অসম্ভব। কাজেই সবাইকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনো অসহায় মানুষ যেন সরকারি হাসপাতালে এসে, সেবা না পেয়ে, মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে চলে না যান, সেটি আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। ভালো কাজ করলে আপনাদের জন্য সরকার সব সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচি‌বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবীর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবিএম মাসুদুল আলম, পরিচালক খলিলুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930