সর্বশেষ

» একসঙ্গে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭. নভেম্বর. ২০২২ | সোমবার

চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যান চলাচলের জন্য এক সঙ্গে ১০০টি সড়ক সেতুর উদ্বোধন করেছেন।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এসব সেতুর উদ্বোধন করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির গণভবন প্রান্তে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানের সেতুগুলো ওপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এই ১০০ সেতুর মধ্য সীমান্ত ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও রয়েছে। বেশির ভাগ সেতুই স্থানীয় এলাকার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এসব সেতু এক প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হয়নি। বেশির ভাগ সেতুর দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় তাতে মাত্র একটি স্প্যান বসেছে। এক স্প্যানের সেতুর সংখ্যা ৬৯টি। সবচেয়ে বড় রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতুতে ১৫টি স্প্যান রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা বাংলাদেশটাকে উন্নয়নের জন্য রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করে দিয়েছি। এর জন্য বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে আজ একসাথে ১০০ সেতুর উদ্বোধন করতে পারছি।’

একশ সেতুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেতু চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি। সবচেয়ে কম কুমিল্লায় একটি সেতু। এ ছাড়া সিলেটে ১৭, বরিশালে ১৪, ময়মনসিংহে ছয়, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে এবং ঢাকা বিভাগে দুটি সেতু রয়েছে। সব মিলিয়ে সেতুগুলোর মোট দৈর্ঘ্য পাঁচ হাজার ৪৯৪.১৩ মিটার। সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এসব সেতুতে ব্যয় করা হয়েছে ৮৭৯ কোটি ৬১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

দৈর্ঘ্যের বিচারে সবচেয়ে বড় সেতু সিলেটের সুনামগঞ্জের রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতু। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৭০২.৩২ মিটার। সবচেয়ে ছোট চার সেতু খাগড়াছড়িতে। সেতুগুলো হলো তবলছড়ি সেতু, তাইন্দং সেতু, কৃষি গবেষণা সেতু ও হাতিমারাছড়া সেতু। প্রতিটি সেতুর দৈর্ঘ্য ১৬.৫৯ মিটার করে।

১০০ সেতুর তালিকার সারসংক্ষেপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগের দুই সেতুর মধ্যে একটির দৈর্ঘ্য ১০৩.৪৩ মিটার, আরেকটির দৈর্ঘ্য ৮৫.১৫ মিটার। এই দুই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ময়মনসিংহের ছয় সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৯৪.১১ মিটার। এতে ব্যয় হয়েছে ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৫টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য এক হাজার ৯০৭.৬১ মিটার। সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্যের চারটি সেতু চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে অবস্থিত। এসব সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৩৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। কুমিল্লায় একটি সেতু তৈরিতেই খরচ হয়েছে ১১ কোটি ৯৫ হাজার টাকা।

সিলেটের ১৭টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য এক হাজার ৫৮৭.১৮ মিটার। সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যের সেতুটি সিলেটের সুনামগঞ্জে। এই ১৭ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ২৯০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। গোপালগঞ্জে ২১৮.৫৭ মিটার দৈর্ঘ্যের পাঁচ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। বরিশালে ১৪ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৫৫৮.৮০ মিটার। এতে খরচ করতে হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রাজশাহীর পাঁচ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১৭৬.৯০ মিটার। এসব সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ২৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর রংপুরের ৩০১.৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের মোট পাঁচ সেতু তৈরিরে খরচ হয়েছে   ৪৭ কোটি ২৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930