সর্বশেষ

» ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচনে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই: সাবেক সিইসি নুরুল হুদা

প্রকাশিত: ১২. জুন. ২০২২ | রবিবার

চেম্বার ডেস্ক:: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী নির্বাচনে কোনো কাজে আসে না।’

আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন নির্বাচন ভবনে এক মতবিনিময় সভায় এ পরামর্শ দেন সদ্যবিদায়ী এ সিইসি। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবদের সঙ্গে এই মতবিনিময় আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা শতভাগ স্বাধীন বলি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের মধ্য দিয়েই অনেক কিছু করতে হয়। ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচনে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই। এটা কোনো দেশে হয় না। তাছাড়া তারা আসলে কোনো কাজেও আসে না। নির্বাচনের ৭৫ শতাংশ টাকা তাদের পেছনে চলে যায়।

সাবেক এই সিইসি আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় একটা থানার সমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকে। তা ছাড়া ইভিএম এমন একটা বিষয় যেখানে বাক্স ছিনতাই করা যায় না। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচন আমাদের জনবল দেওয়া হয়েছিল। যারা যোগ্য তাদের রাখতে হবে। আর কিছু জায়গায় জেলা প্রশাসনকে রাখতে হবে। অনেক অভিযোগ থাকবে। সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অনেক অভিযোগ সত্যও হয় না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় নুরুল হুদা ছাড়াও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করা সিইসি শামসুল হুদা, ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফ; সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, মাহবুব তালুকদার ও আবু হাফিজও উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান ও বেগম জেসমিন টুলীও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

গত মার্চ থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান ইসি বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করছে। গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিকদের সংলাপ করে ইসি।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930