সর্বশেষ

» ঘুষ লেনদেন মামলা: জামিন পেলেন বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমান

প্রকাশিত: ১৩. এপ্রিল. ২০২২ | বুধবার

চেম্বার ডেস্ক:: 

ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের একক বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল মিজানের জামিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে আদালত আজ জামিনের দিন ধার্য করেন। এ সময় নিম্ন আদালতে থাকা মামলার সব নথিও তলব করেন হাইকোর্ট।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজান ও বাছিরকে তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।

গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। গত বছর ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়ার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত অডিও রেকর্ড বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহ করেন। এরপরই দুদক তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930